প্রকাশিত: Wed, Jan 4, 2023 4:13 PM আপডেট: Wed, Jul 9, 2025 12:44 AM
স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার টাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মনজুর এ আজিজ: দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার বা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা হিসাবে)। এ ব্যয় শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের চেয়েও কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যকাউন্টস এর ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
অনেক সময় বরাদ্দকৃত অর্থ ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট ঠিকঠাক মতো ব্যবহার হয় না জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্যখাতে এসব ঘাটতি থাকলে দেশ এগোতে পারবে না। কারণ স্বাস্থ্য একটি বড় ব্যাপার। করোনাকালে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যের কারণে লকডাউন করতে হয়েছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত, কলকারখানা সব বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে দেশ আর্থিকভাবে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। তবে এখন আগের অবস্থায় এসেছে। এই মুহূর্তে দায়বদ্ধতা ও তদারকি সবচেয়ে বেশি দরকার। দুর্নীতি যদি বন্ধ করা যায় তাহলে অনেককিছুর পরিবর্তন হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর মতো সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির পকেট খরচ (স্বাস্থ্যখাতে ব্যক্তি পর্যায়ের খরচ) অনেক বেশি। এ সেবায় সরকার কী পরিমাণ ব্যয় করে সেটিও সামনে আসা উচিত। অনেক লজিস্টিক লাগে, প্রচার-প্রচারণার দরকার হয়। নতুন নতুন অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে, সেখানেও অনেক খরচ হয়। মহামারি আসলে আবার বাড়তি ব্যয় হয়। যেটা ভ্যাকসিনেশনে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা হয়তো জিডিপির শেয়ার কম পাচ্ছি, এটা বাড়ানো দরকার। পকেট খরচ কমাতে হলে প্রাইভেটের খরচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আবার বিদেশে বড় একটা অংশ চিকিৎসা নেন, সেটিরও একটা প্রভাব এতে পড়ে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় যন্ত্রপাতিসহ অনেককিছু নষ্ট হয়ে যায়। আধুনিক যন্ত্রাংশ এনে সংযোজন করতে হয়। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য তদারকি ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে। তবে আশার কথা হলো, অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে।
এদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস সেলের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল ষষ্ঠ রাউন্ডের ফল জানিয়ে বলেন, ২০২০ সালে ব্যক্তি পর্যায়ে ব্যয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ) সম্পন্ন হয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা কর্তৃক ব্যয়ের পরিমাণ ৫ শতাংশ। এর আগে প্রকাশিত বিএনএইচএর তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের মধ্যে সরকারি খাতের ব্যয় ছিল ২২ দশমিক ৮ শতাংশ যা ২০২০ সালে সামান্য বেড়ে ২৩ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়ায়। সম্পাদনা: এল আর বাদল
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
